সম্পাদকঃ জয় আরিফ।
২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৩৮০টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। গত বছর একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ৬১ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে রিউমর স্ক্যানার ভুল তথ্য শনাক্ত করেছিল ৮৫৬টি। সংসদ নির্বাচন, রাজনৈতিক নানা ঘটনা আর খেলাধুলার বিভিন্ন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের কারণে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভুল তথ্য প্রচারের হার বেড়েছে৷ এই সময়ে একক ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্যের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একক ইস্যু হিসেবে বেশি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্যের শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বছর প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভুল তথ্য প্রচারের হার বেড়েছে ১১ শতাংশ। রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে গত ছয় মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
একক ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাই বেশি ভুল তথ্যের শিকার
২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে রিউমর স্ক্যানার কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে একক ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্যের শিকার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাকে জড়িয়ে শনাক্তকৃত ৯৪টি ভুল তথ্যের মধ্যে ৮১টিই রাজনীতি কেন্দ্রিক। জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রতি মাসেই তাকে নিয়ে একাধিক ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে নির্বাচনের মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে (২৯টি)। ছয় মাসে প্রতি দুই দিনে গড়ে একটি করে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে তাকে নিয়ে। এসব ভুল তথ্য ছড়াতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে ইউটিউবকে। চটকদার থান্বনেইল, বিভ্রান্তিকর শিরোনাম আর অপ্রাসঙ্গিক ফুটেজ ব্যবহার করে ইউটিউবে ছড়ানো ভুয়া ভিডিওগুলো লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে৷ এর বাইরে ফেসবুক এবং টিকটকেও তাকে নিয়ে ছড়ানো হয়েছে ভুল তথ্য।