সম্পাদকঃ
বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কিছুটা সময় দেয়ার কথা বলছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, এখনও পণ্যের দাম আগের মতোই। কয়েকটি সবজির দাম কমলেও বেশিরভাগ সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। চাল, ডালের দাম আগের মতই আছে।
শুক্রবার ১৬ আগস্ট রাজধানীর বাজারগুলো পর্যবেক্ষণে গিয়ে দামের উত্তাপ কেমন, এমন প্রশ্ন শেষ না হতেই কিছুটা তেড়ে আসেন ক্রেতারা। তারা বলেন, ইলিশ মাছ স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে, অন্য সব ধরনের মাছের দামও বেড়েছে।
আবার ক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন, গেল কয়েক বছরে বাজার যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন, মাত্র কয়েক দিনেই সেই বাজারে পণ্যের দাম নাগালে আসবে এমনটি ভাবা ঠিক নয়। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম দুই থেকে পাঁচ টাকা কমেছে। তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। অপরিবর্তিত আছে আলু, আদার দাম। বেড়েছে কাঁচা মরিচের দামও।
দেশি ও সোনালী মুরগির দাম অপরিবর্তিত আছে। সামান্য কমেছে ফার্মের মুরগির দাম। ক্রেতারা বলছেন, পরিবহনের ভাড়া কমানো, ধাপে ধাপে চাঁদাবাজীর যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে সেগুলো একেবারে বন্ধ করা না গেলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। যা আগে চেয়ে ১০ টাকা বেশি। তবে ভারত থেকে আমদানি করা কিছু পেঁয়াজ এখনও ১০০ থেকে ১১০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। যদিও ভারতীয় পেঁয়াজের মান দেশি পেঁয়াজের চেয়ে কিছুটা নিম্ন। বাজারে মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ৭৫, পাইজাম ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে ৪ থেকে ৫ টাকা বাড়তি। মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায়।
সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁপে, ১৫-২০ দিন আগে পেঁপের কেজি ছিল ৭০ টাকা। একইভাবে পটল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এতদিন এসব সবজির দাম ছিল ৭০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া আধা কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।