সম্পাদকঃ জয় আরিফ।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে।
এ অধ্যাপক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা মাধ্যমে কথা বলেছেন। যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন ড. আসিফ নজরুল।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া এ অধ্যাপক আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয়। বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অনিয়ম ও সাংবিধানিক ইস্যুতে মতামত জানাতে দেখা গেছে তাকে। তার গত বছরের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্প্রতি পুনরায় ছড়িয়ে পড়েছে। ‘শোক প্রকাশের স্বাধীনতা চাই’ শিরোনাম শীর্ষক সেই পোস্ট আবার নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেছেন সংগীতশিল্পী, অভিনেত্রী ও নির্মাতা এবং কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
গত বছরের ২২ আগস্ট ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে ড. আসিফ নজরুল এক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘শোক প্রকাশের স্বাধীনতা চাই। কার মৃত্যুতে কে দুঃখিত হবে, এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কার দুঃখে কে দুঃখ পাবে বা কার জন্য কে দোয়া করবে, এটাও একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এর ওপর কোনোরকম রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ হতে পারে না। শোক প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতেই হবে।
এদিকে অভিনেত্রী শাওন ড. আসিফ নজরুলের সেই পুরনো স্ট্যাটাসটি বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন। তাতে ক্যাপশন হিসেবে ‘ক্ষমাপ্রার্থী ইমোজি’ জুড়ে দিয়েছেন হুমায়ূনপত্নী।
প্রসঙ্গত, ড. আসিফ নজরুল সম্পর্কে অভিনেত্রী শাওনের জামাতা। কেননা, এ অধ্যাপক বিয়ে করেছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রীর সন্তান অভিনেত্রী শিলা আহমেদকে।