সম্পাদকঃ
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ মঙ্গলবার (১৮ জুন) বন্যা পূর্বাভাস আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ আবহাওয়াবিদ আরও জানান, বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন করে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার উপরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে তা অপেক্ষা কয়েকগুণ বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে মেঘালয় পর্বতের ওপরে।
তার মতে, আজ রাতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার জন্য।পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিয়ে রাখা পরামর্শও দেন তিনি।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম নামক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে পূর্বাভাস দিয়েছেন জানিয়ে এ গবেষক আরও বলেন, বিকেলের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে গেলেও রাত ১২টার পর থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। রাত ৩টার পর থেকে আবারও সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার মেঘালয় পর্বত এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ভোর ৬টার পর থেকে আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুবই ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে সুনামগঞ্জ জেলার কোনো কোনো স্থানে নদীর পানি সাময়িকভাবে কমা শুরু করলেও মধ্যরাতের পর থেকে আবারও তা বাড়তে পারে। এর প্রভাবে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে জানান গবেষক পলাশ।
জলবায়ু বিষয়ক এ গবেষক আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে সিলেটে জুনের দিকে ৮৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে ২০২৪ সালে জুনের ১৭ দিনেই ১৫৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে ৮৪ শতাংশ বেশি।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছানাকান্দি ও পান্থুমাইসহ সব পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, আগামী সাত দিন অতিভারি বর্ষণ হতে পারে সিলেট ও এর আশপাশের এলাকায়। এছাড়া উজানে বিশেষ করে মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলে অর্থাৎ ব্রহ্মপুত্র, সুরমা, কুশিয়ারা বেসিনে বৃষ্টি বাড়ছে। তিস্তা বাঁধ এলাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা থাকতে পারে আরও এক সপ্তাহ। এ কারণে সিলেটবাসীর জন্য আপাতত কোনো সুখবর নেই। বরং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে তাদের।