সম্পাদকঃ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদসহ পূর্বঘোষিত ৯ দফা দাবিতে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তার আগের দিন শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে তারা।
আজ শুক্রবার রাতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার নিশ্চিত করেছেন।
সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য “সর্বাত্মক অসহযোগ” আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলো।
বিবৃতিতে, সারাদেশের আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত আটটার কিছু আগে ফেসবুকে লাইভে এই কর্মসূচির বিষয় ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘শুক্রবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে ঢাকাসহ কয়েকস্থানে ৭-৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিরস্ত্র মানুষকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য “সর্বাত্মক অসহযোগ” আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলো। ’
তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে কোনো ট্যাক্স দেওয়া হবে না, ‘কেউ কোনো অফিসে যাবেন না, সচিবালয় বন্ধ থাকবে। গণভবন ও বঙ্গভবনে কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না। সবকিছু বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেওয়া যাবে না। এই সরকারকে সর্বাত্মক অসহযোগিতা করতে হবে। ’
তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ গুলি নিয়ে রাস্তায় নামছে। তারা শিশুদেরও হত্যা করছে। লাইভে প্রত্যেককে দায়বদ্ধ উল্লেখ করে আন্দোলনে অংশ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মাসউদ বলেন, ‘বারবার নাগরিকদের হত্যা করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এটা চলতে দেওয়া যাবে না। প্রত্যেকটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জানান দিতে হবে এই অত্যাচার আর চলতে পারে না। ’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের ভাই, সন্তান। আপনাদের সন্তানরা আন্দোলন করছে তাদের মারবেন না। আগামীকাল থেকে এদেশের মানুষ তাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রমাণ দেবে এবং রাজপথে লড়াই করবে।