সম্পাদকঃ জয় আরিফ।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া অর্থের পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এবার সংস্থাটির জায়গার ভাড়া বাবদ পাঁচ শত কোটি টাকা দিতে গড়িমসি করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বেবিচক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানের কাছে চিঠি দিয়ে বারবার তাগাদা দিলেও কোনো সাড়া মিলছে না। ফলে আটকে রয়েছে ইজারা নবায়ন চুক্তিও। এ বিষয়ে সর্বশেষ গত ৬ জুন বিমানের সঙ্গে বৈঠক করে বেবিচক। সেখানে পাওনা আদায়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
বেবিচক সূত্র জানায়, বেবিচকের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের ৮টি বন্দরের ভূমি, অফিস কক্ষ ও চেক ইন কাউন্টারসহ অন্যান্য স্থাপনা ইজারা নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ। বিমানের আনুকূলে ২৪টি জায়গার বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি জায়গার বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে নবায়নের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। জায়গাগুলো হলো- বিমানের আনসার ক্যাম্প ও অকশন ইয়ার্ডের জায়গা, বিমানের প্রশাসনিক ভবনের জায়গা, বিমানের প্রধান
কার্যালয় বলাকা ভবনের জায়গা ও আশকোনায় বিমানের হাউজিংয়ের জায়গা। সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, বিমানের
প্রশাসনিক ভবনের দুপাশে বেবিচক কর্তৃক নির্মিত পানির পাম্প ও সৌদি মসজিদ নির্মাণের ফলে ভবনের প্রচুর জায়গা অব্যবহৃত রয়েছে। বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনের জায়গায় থার্ড টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও নতুন পানির পাম্প স্থাপনের জন্য ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট জায়গা বলাকা ভবনের দখলে। বেবিচকের হিসাবমতে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিমানের কাছে জায়গার ভাড়া বাবদ পাওনা ৫১১ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ১৭০ টাকা। এই টাকা পরিশোধের জন্য বারবার চিঠি দিলেও বিমান তা পরিশোধ করেনি। ফলে ইজারা চুক্তি নবায়ন করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া সম্প্রসারণের প্রকল্প ও কেন্দ্রীয় স্টোর ইফনিট (সেমসু) জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও তা ছাড়ছে না বিমান।
এ বিষয়ে গত জুনে বেবিচক ও বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বিমানের অনুকূলে ইজারাকৃত কক্ষ ও বিমানে জায়গা ডিজিটাল পরিমাপ করা হবে। দ্রুত বেবিচকের পাওনা পরিশোধ হবে। পুনরায় জায়গা ইজারা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।