সম্পাদকঃ জয় আরিফ।
শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের সুযোগে সরকারি তিতুমীর কলেজেও তাণ্ডব চালায় নাশকতাকারীরা। শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, অধ্যক্ষের রুম ও ছাত্রদের বাস ভাঙচুর চালানো হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও হেলমেট পরে একদল যুবক সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এরপরই শুরু করে ব্যাপক ভাঙচুর। একে একে হামলা করা হয়, কলেজের বাস, ল্যাবরেটরি, নতুন একাডেমিক ভবনে। বাদ যায়নি অধ্যক্ষের রুম এবং ছাত্র হোস্টেলও।
দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, সেদিন তিন দফায় ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেয় বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ ব্যবহৃত ফ্রিজও।
দুর্বৃত্তরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মহিলা হোস্টেলেও হামলা চালানো হয়। সামনের দিকে যারা ছিলেন, তারা হেলমেট পরা ছিলেন। সঙ্গে অনেক টোকাইও ছিল। গেইট যখন ভেঙে ফেলা হয়, তখন আমরা প্রাণের ভয়ে সরে যাই।
এ ঘটনায় বনানী থানায় মামলা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।
সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌস আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন
আমরা হিসাব করে দেখেছি, আমাদের প্রায় ২ কোটি টাকার জিনিসপত্র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কলেজে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।