সহ-সম্পাদকঃ জুলফিকার আলি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৬ জুন ২০২৪) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন। এসএসএফ-এর প্রতিটি সদস্য সততা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আবার বিরোধী দলে থেকেও দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তারও পরিকল্পনা করেছি। তবে ২০০৯ থেকে টানা ক্ষমতায় আছি বলেই, দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে পেরেছি। স্থায়ী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। শেখ হাসিনা বলেন, স্কুলজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, কলেজে ওঠার পর ভাইস প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হয়েছিলাম। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রতিটি আন্দোলন এবং সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলাম। তবে এত বড় গুরুদায়িত্ব নিতে হবে, সেটা কখনও চিন্তাতেও আসেনি। আর সে ধরনের কোনো আকাঙ্ক্ষাও ছিল না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাবা (বঙ্গবন্ধু) রাজনীতি করতেন, মা তার পাশে সব সময় ছিলেন আর আমরাও সেভাবে কাজ করে গেছি। শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সময় স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতীক আমাদের শসস্ত্র বাহিনী, তিনি সেই বাহিনীও গড়ে তুলেছিলেন। বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহায়তায় দেশকে যেমন গড়ে তুলেছিলেন তিনি, সেই সাথে শসস্ত্র বাহিনীকেও গড়ে তুলেছিলেন। একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, তারা যেন সুপ্রশিক্ষিত ও উপযুক্ত হয় সে পদক্ষেপটাও তিনি নিয়েছিলেন। আমরা তারই পদাঙ্ক অনুসারণ করে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে এবং সেভাবে কাজ করছে সরকার।
আমাদের দেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ করুণা করে না, সবাই মর্যাদা দেয়। আমরা দেশে-বিদেশে যে মর্যাদা পেয়েছি, তা ধরে রাখতে হবে এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার জীবন যে কোনো সময়ই চলে যেতে পারে। কিন্তু আমি পিছিয়ে যাইনি। সকল বাধা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি।
দেশে খাদ্যদ্রব্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। তবে যতক্ষণ আমার নিঃশ্বাস আছে, লক্ষ্য একটাই মানুষের জীবন উন্নত করা।
এসএসএফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি, জনগণই আমার শক্তি। কাজেই এসএসএফের নিরাপত্তার কড়াকড়িতে যেন আবার জনগণ থেকে নিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই। কারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আর গুলি করা লাগবে না, এমনিতেই শেষ হয়ে যাবো। আমি জানি, এ কাজটা খুবই কঠিন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমার প্রচেষ্টা ছিল দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আবার বিরোধী দলে থেকেও দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তারও পরিকল্পনা করেছি। তবে ২০০৯ থেকে টানা ক্ষমতায় আছি বলেই, দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে পেরেছি। স্থায়ী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। বাংলাদেশ আজকে যে পরিবর্তন হয়েছে, সে ধারা অব্যাহত রেখেই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।