টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো তিনটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এই সাফল্যের পেছনে প্রধান অবদান রেখেছে বোলাররা, বিশেষ করে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের অবদান তুলনামূলক কম। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামার আগে তাই ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। তবে ভারতের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে এই উদ্বেগকে অতিরঞ্জিত মনে করেন না। ইএসপিএনক্রিকইনফোর ম্যাচ প্রিভিউতে কুম্বলে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন ছিল। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরাও সমস্যায় পড়েছিল। উইকেট কঠিন ছিল। তবে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসই মূল বিষয়। সাকিব আল হাসান ফর্মে ফিরেছে, যা ভালো লক্ষণ। মাহমুদউল্লাহও ভালো ব্যাটিং করছে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্ত বেশ কিছু দিন ধরে রান পাচ্ছেন না। এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে তাঁর স্কোর ছিল ৭, ১৪, ১, ৪। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও তেমন ফল আসেনি। যদিও কুম্বলে মনে করেন, নাজমুলের রান করাটা জরুরি। তিনি বলেন, “তাদের অধিনায়কের কাছ থেকে কিছু রান আসাটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ৬ ওভারে যদি অধিনায়ক কিছু রান করতে পারে, তাহলে বাকিরা উইকেটে এসে সময় পাবে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জিততে হলে প্রথম ৬ ওভারে ভালো শুরু পাওয়া জরুরি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। কুম্বলে মনে করেন, এ দুজনকে শুরুতেই ফিরিয়ে দিলে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলা যাবে। তিনি বলেন, “বাঁহাতি দুই ওপেনারকে ফেরাতে না পারলে বাংলাদেশ পেছনে পড়ে যাবে। তানজিম হাসান ভালো করছে, ওর উইকেট নেওয়া উচিত। মোস্তাফিজুর রহমানও আছে, উইকেটে গ্রিপ থাকলে সে উইকেট নিতে পারে।
বাংলাদেশকে সুপার এইটে তুলতে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ভূমিকা ছিল বিশাল। ৪ ম্যাচে ৭টি উইকেট নিয়ে দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে উইকেট এনে দিয়েছেন। তাঁর বোলিংয়ে মুগ্ধ কুম্বলে বলেন, “রিশাদ দারুণ বোলিং করছে। তিনি একজন উইকেটশিকারি, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্ট্যান্ডআউট পারফরমার। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের লেগ স্পিনাররা ভোগায়। যদি শুরুতেই ২-৩টি উইকেট পড়ে, তাহলে রিশাদকে খেলা অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন হবে। উইকেট না গেলে রিশাদের ওপর চাপ থাকবে।